দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ ফের বেড়েছে। জানুয়ারি শেষে মূল্যস্ফীতির গড় দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের মাস ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। যদিও মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। কিন্তু কোনোভাবেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এবং শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়াকে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ হওয়ার অর্থ হলো ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে যে পণ্যের দাম ১০০ টাকা ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ওই একই পণ্য কিনতে হয়েছে ১০৯ টাকা ৮৬ পয়সা দিয়ে। বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এতদিন কম থাকলেও শহরের মূল্যস্ফীতি লাগাম ছাড়া। গত মাসে গ্রামের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর শহর এলাকার মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।