রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভুয়া মালিকানায় জাহাজ বিক্রির তদন্ত শুরু

উৎকণ্ঠায় মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতি ভুয়া মালিকানায় ‘এমভি আরকেডিএস-১’ জাহাজ বিক্রির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে নৌপরিবহন অধিদফতর। এর মধ্যে দুই দফায় খুলনার জাহাজ মালিক শামীম হোসেন ও অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জাহাজ বিক্রির ঘটনায় জনৈক তরুণ আকন, জাহাজ জরিপকারক ও অভ্যন্তরীণ নৌযান রেজিস্ট্রার দফতরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় ভুয়া মালিকানায় ‘এমভি আরকেডিএস-১’ জাহাজ বিক্রির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন জাহাজের মালিক শামীম হোসেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ভুয়া মালিকানা দলিল, নৌযান রেজিস্ট্রেশন, জাহাজের নাম পরিবর্তন ও জাল সার্ভে সনদ তৈরি করে ১০ ডিসেম্বর তার জাহাজটি গোপনে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে দেখা যায়, খুলনার আরেক বাসিন্দা তরুণ আকন ওই জাহাজটির কাগজপত্র হারিয়ে গেছে দাবি করে খুলনা সদর থানায় ২০২৩ সালে একটি ভুয়া সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর তরুণ আকন ওই বছরের ৮ আগস্ট জাহাজটি তার কাছে সাড়ে ৪ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে মর্মে নোটারি পাবলিকের কাগজপত্র তৈরি করেন। এতে খুলনার আইনজীবী মো. নজরুল ইসলামের সিল ও স্বাক্ষর জাল করা হয়। পরে নৌযান সার্ভে অফিসে কৌশলে মালিকানা পরিবর্তন করে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার একজন ব্যবসায়ীর কাছে জাহাজটি ২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। জাহাজ ব্যবসায়ী শামীম হোসেন জানান, তিনি জাহাজ বিক্রির খবর পেয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। শুধু কাগজপত্রে মালিকানা পরিবর্তন করে তার অজান্তেই দুবার জাহাজটি বিক্রি করা হয়েছে।

এর পেছনে একটি শক্তিশালী প্রতারক চক্র কাজ করেছে।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি ৯ জানুয়ারি ও ১১ ফেব্রুয়ারি তার কাছ থেকে জাহাজের মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন খান বলেন, মামলার আসামিরা সবাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। বিষয়টি তদন্তে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জাহাজ বিক্রির উৎকণ্ঠায় রয়েছেন জাহাজ মালিকরা। তারা এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর