ভাষা আন্দোলনের মাসে অন্তত শহীদ মিনারের কদর থাকলেও নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দেখা গেছে এর ভিন্ন চিত্র। ভাষা আন্দোলনের মাসেও অযত্ন আর অবহেলায় কেন্দুয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মূল ফটকের সামনেই চলে অবাধে মূত্রত্যাগ। পথচারী, সিএনজি অটোরিকশাচালক, যাত্রীসহ অনেকেই স্থানটিকে টয়লেটের মতো ব্যবহার করছেন অবলীলায়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন প্রজন্মের তরুণসহ স্থানীয়রা জানান, আমাদের ভাষা এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও নিজেরাই এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে অবমাননা করছি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রবেশমুখে এবং কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার মোড়টিতে কেন্দুয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। খোলা হয় না ফটক। ফটকের সামনেই মূত্রত্যাগের স্থায়ী স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয়সহ সিএনজি অটোরিকশাচালকদেরও দাবি প্রশাসন উদ্যোগ নিলে অভ্যস্থ হওয়া সাধারণ মানুষ এমন কাজ আর এখানে করবে না। মেহেদি হাসান জানান, শহীদ মিনারের দেয়ালটি মূত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে এখানে কেউ মূত্র কেন থুতু ফেলতেই সাহস পাবে না। প্রশাসনিক দেখভাল না থাকায় উপজেলার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কথা বলতে কেন্দুয়া পৌর মেয়রের ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে হতাশা ব্যক্ত করে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, কেন্দুয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে বলা হয়েছে।
পৌর মেয়রের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। কেউ যেন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে না যায় সে জন্য সাইন বোর্ড লাগানো হবে।