বিদ্যুতের বর্ধিত দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে, অর্থাৎ মার্চ থেকেই গ্রাহককে বাড়তি বিল দিতে হবে। তবে সেটি খুব অল্প পরিমাণ, কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের কম আর বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বেশি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মার্চ থেকেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। মন্ত্রণালয়সূত্র জানিয়েছেন, যে কোনো সময় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা হারে বাড়বে। বিদ্যুতের নতুন দর ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। বর্তমানে ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এখন বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ পড়ছে প্রতি ইউনিট ১২ টাকার মতো। আর বিক্রি করা হচ্ছে গড়ে ৭ টাকায়। চলতি বছর বিদ্যুতে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ধীরে ধীরে কয়েক বছর সমন্বয় করা হবে।
কম ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম কম বাড়বে, আর ওপরের দিকে বেশি বাড়বে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে বিক্রি করায় লোকসান হচ্ছে, সে কারণে কিছুটা সমন্বয় করা হচ্ছে। আমরা তো খরচ তুলতে চাইছি, খুবই সামান্য পরিমাণে দাম বাড়বে। লাইফলাইন গ্রাহকের (৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) মাসের বিল ২০ টাকার মতো বাড়তে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায়। তেল-গ্যাস-কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারদর ক্ষেত্রবিশেষ একই থাকলেও আগের চেয়ে ডলারপ্রতি ৪০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। এখানেই বিশাল গ্যাপ তৈরি হয়েছে। ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য কাজ করছি।তেলের দামের বিষয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আধুনিক প্রাইসিংয়ে যাচ্ছে। ইনডেক্স ও ফর্মুলা করা হয়েছে। প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হবে, প্রতিবেশী দেশ ভারত এ দাম প্রতিদিন সমন্বয় করে। সেখানে অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সরকার অন্যভাবে সহায়তা করে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, গড়ে প্রতি ঘনমিটার ২৪ টাকার ওপরে দাম পড়ছে। সেখানে সার উৎপাদনে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে প্রতি ঘনমিটার ১৬ টাকা আর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৪ টাকা দরে। দাম বাড়িয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে সমন্বয় করা হবে।