শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাড়ছে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শীতের বিদায়বেলায় বেড়েছে জ্বর, কাশি, ঠান্ডার প্রকোপ। এতে একই পরিবারের অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। সব বয়সী মানুষই ভুগছে এসব রোগে। তবে শিশু ও বয়স্করা ভুগছে বেশি। এ অবস্থায় জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা ও শরীরব্যথা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, শীতের বিদায়বেলায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়ছে। এর মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিও ঝরছে। এ কারণে ফ্লু এবং ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা প্রভৃতি হাঁচিকাশির মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে। সাধারণত তিন থেকে সাত দিন জ্বর, সর্দি, কাশির তীব্রতা থাকছে। কাজেই এ সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের তথ্যমতে, ১৫ দিন আগে হাসপাতালে রোগী ছিল ২ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৪৪৫ এবং মেডিসিন ওয়ার্ডে ৬২৯ জন। গতকাল শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৪৮৯ এবং মেডিসিন ওয়ার্ডে ৬৯০ জন।

 এদিন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ৬৯৩ জন। সিজনাল ফ্লু ও ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বাড়ায় রোগী বাড়ছে। পবার চম্পা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনি কয়েকদিন ধরে সর্দিজ্বরে ভুগছে। বাসার অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত। স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাওয়ানো হচ্ছে। কমছে আবার বাড়ছে। আবহাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে। ওষুধ খেলেও রোগ সারতে সময় লাগছে অনেক দিন।’ রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় ফ্লুর প্রকোপ বাড়ে। এবারও বেড়েছে। রাজশাহীতে অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে দুবার বৃষ্টি হয়েছে। এতে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির শঙ্কা বেড়ে যায়। কাজেই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে সর্দিজ্বর মহামারি আকার ধারণ না করলেও প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দিনরাতের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এখন ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এতে জ্বর, হাঁচিকাশির মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর