শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই বছরেও শেষ হয়নি আট মাসের কাজ

আলোর মুখ দেখছে না শেকৃবি গ্রিনহাউস

শেকৃবি প্রতিনিধি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রিনহাউসের নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৪ মাস পার হলেও শেষ হয়নি কাজ। এ ছাড়া চাহিদাপত্রের মান অনুযায়ী গ্রিনহাউসের নির্মাণসামগ্রী নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেকৃবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন ১২ কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে গ্রিনহাউস তৈরির কাজ দেওয়া হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ফের সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। তার পরও কাজ শেষ করতে না পারায় আবারও সময় বাড়ানো হয়। এ সময় বাদ দেওয়া হয় অপ্রয়োজনীয় এবং টেন্ডারের ডাবল যন্ত্রপাতি। পরে রিভাইসড টেন্ডারে ব্যয় ঠিক করা হয় প্রায় ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে গ্রিনহাউসের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, গ্রিনহাউস তৈরিতে কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। গ্রিনহাউস নির্মাণে দায়িত্বরত প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারও বিষয়টিতে সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী গ্রিনহাউস নির্মাণ করে দেবেন বলে দাবি করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রিনহাউস নির্মাণে পলিকার্বনেটেড দেয়ালে প্রাথমিকভাবে নিম্নমানের এগজস্ট ফ্যান ও লাইট লাগানো হয়। পরে টেকনিক্যাল কমিটির বিরোধিতায় তা পরিবর্তন করা হয়। এ ছাড়া গ্রিনহাউসের পলিকার্বনেটেড দেয়ালে ৮ মিমির শিট ব্যবহারের কথা থাকলেও তা অপেক্ষা পাতলা শিট ব্যবহার করা হয়েছে। এখনো গ্রিনহাউসের কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রোডাকশন এবং কন্ট্রোল ইউনিট ইনস্টল সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া সম্পূর্ণ অটোমেশন সিস্টেম চালু হয়নি।

গ্রিনহাউস নির্মাণ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য বলেন, যে স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এটি হওয়ার কথা ছিল, সে অনুযায়ী হয়নি। পলিকার্বনেট শেডটিও মানসম্মত নয়। অপারেটিং সিস্টেমও সঠিকভাবে দেখাতে পারছে না। যারা কাজটি করছেন, সরাসরি গ্রিনহাউস তৈরির অভিজ্ঞতা থাকলে এ জটিলতা তৈরি হতো না।

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুল হক কাজল বলেন, ‘করোনা- পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যন্ত্রপাতি আসায় বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কোনো শিক্ষক চাইলে আমরা গ্রিনহাউস ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিতে পারব। আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রিনহাউস সম্পূর্ণ বুঝে পাব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর