বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের ৫২ বছর পূর্তি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মিত্র দেশ ভারতের সেনা প্রত্যাহারের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের ঘটনা দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অসাধারণ দক্ষতা এবং তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আন্তরিকতার কারণেই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের সার্বিক সহায়তা এবং ভারতীয় সেনাদের আত্মত্যাগকে আমরা স্যালুট জানাই।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম বজলুর রহমান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর অবদান, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান। এ ছাড়া সম্মানীয় অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সেনা সদর দফতরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লে. জেনারেল মো. মজিবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত এবং পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের হাজারো সেনা যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন। তাদের সার্বিক সহায়তা এবং আত্মত্যাগকে আমরা স্যালুট জানাই। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অসাধারণ দক্ষতার কারণেই অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর