বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
কুমিল্লা

প্রবাসী হত্যায় স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদন্ড

২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন নিহতের ছোট ভাই।

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার হোমনায় সৌদি প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে হত্যার দায়ে স্ত্রী শাহনাজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদন্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে খালাস প্রাপ্ত আসামি মো. শাহ জাহান কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামি অনুপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- হোমনা উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো. কুদ্দুস মিয়া (৩২), একই উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক আবদুল খালেক (২৮), একই উপজেলার কারার কান্দি গ্রামের মৃত সাধন মিয়ার ছেলে মো. রাজিব (২৬) এবং নিহতের স্ত্রী মোসা. শাহনাজ বেগম। বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি হলেন- হোমনা উপজেলার গোয়ারী ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে হোমনা কাঁচাবাজার পাইপ ফিল্টার টিউবওয়েল ব্যবসায়ী মো. শাহ জাহান (৪২)। মামলার বিবরণে জানা যায়- আসামি মো. শাহ জাহানের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগমের পরকীয়া প্রেম ছিল। এর জের ধরে আসামিরা সৌদি প্রবাসী মো. আবদুল জলিলকে (৪৫) ঢাকায় চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে যায়। ২০১৩ সালের ৯ জুন থেকে ১০ জুন যে কোনো সময়ে হোমনা উপজেলার বাহেরখোলা গ্রামের কেরার মাজার সংলগ্ন স্থানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। বাদী তার বড়ভাই জলিলের লাশ শনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে নিহতের ছোটভাই হোমনা উপজেলার চেৎপুর গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে মো. তাইজুল ইসলাম (৩৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আবদুল আল বাকী তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি কুদ্দুছ, আ. খালেক, রাজিব ও মূল পরিকল্পনাকারী নিহতের স্ত্রী শাহনাজকে গ্রেফতার করেন। ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি রাজিব, শাহনাজ ও আ. খালেকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রায় দেন আদালত। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আবু ইউসুফ বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো. আ হ ম তাইফুর আলম বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর