বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি

♦ ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়বে ♦ ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি বাড়ানো হলে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে যাওয়ার সুযোগ পাবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ কমাতে দুই দিন ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঈদযাত্রা নিরাপদ এবং ভোগান্তিমুক্ত করতে গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

যাতায়াতে দুর্ভোগ, পথে পথে যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র এক দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পর ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও লম্বা ছুটির সুবাদে গ্রামের বাড়ি যাবেন। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ বহনের সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। এ কারণে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ বলছে, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবেন। এসব যাত্রীদের ঈদের আগের চার দিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেট কার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় ১ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি যানজট হতে পারে এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। যার মধ্যে ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয়। ঈদযাত্রায় সড়কে চাঁদাবাজি ও টোল পয়েন্টগুলো যানজটমুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর