শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
মন্ত্রীর সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশে বস্ত্র ও পাট খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ খাতে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। চীনের বিনিয়োগকারীরাও এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চীনের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান মন্ত্রী। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করে।

সাক্ষাৎ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নানক বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। চীন আমাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের এ মেয়াদেও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত অবহিত করেছেন। এর আগে বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, আমরা চীনে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চাই। এ সময় মন্ত্রী চীনা রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চীনের বিনিয়োগকারীরা বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগ করবেন। এর ফলে টেক্সটাইল ও পাটজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করি। এ সময় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের চীনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের ব্যাপারে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। আগামী নভেম্বরে চীনে অনুষ্ঠেয় টেক্সটাইল এক্সপোয় বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ করে পণ্য প্রদর্শনের আহ্বান জানান।

বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক গোপাল চন্দ্র দাশ, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়ং এবং অ্যাটাশে লি জিচেন উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর