সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

চালককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। তারা হলেন- ছিনতাই চক্রের মূল হোতা মো. শরীফুল ইসলাম, তার সহযোগী চান্দু এবং চোরাই রিকশা ব্যবসায়ী ফুল মিয়া ও মো. আল আমিন। গত শনিবার রাজধানীর মুগদার মানিকনগর ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি মূলত চালককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রিকশা ছিনতাই করত। তারা গত ৯ মাসে শতাধিক রিকশা চুরি করেছে। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রিকশা ছিনতাই চক্রের মূল হোতা শরীফুল। সে পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক। ৯ মাস আগে সে তার কাভার্ডভ্যান বিক্রি করে দেয়। এরপর একজনের মাধ্যমে রিকশা চুরির কৌশল রপ্ত করে। শরীফুলের চক্রে তিনজন রয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন একটি রিকশা আপ-ডাউনের জন্য ভাড়া করে। এই আপ-ডাউনের মধ্যে পথে কোথাও থামিয়ে নিজে চা খায় ও রিকশাওয়ালাকে খাওয়ার অফার করে। পরে কৌশলে তার চায়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে রিকশাওয়ালাকে কোথাও ফেলে রেখে রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।

হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, গত ৮ এপ্রিল চুরির উদ্দেশে রামপুরার বনশ্রী এ/বি এভিনিউ রোড নম্বর-২ থেকে শাহ আলম নামের এক চালকের রিকশায় ওঠে চক্রের দুই সদস্য। পথে শাহ আলমকে অজ্ঞান করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শাহ আলামকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল শাহ আলম মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শরীফুল ও তার সহযোগী চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। শনিবার মুগদা এলাকা থেকে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩২টি চেতনা নাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে ফুল মিয়া ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর