তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তবে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার অ্যাপ্রোচ থাকা প্রয়োজন।

গতকাল রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিজস্ব মিলনায়তনে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া প্রমুখ।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপসাংবাদিকতা হলে তার সবচেয়ে বড় শিকার হন পেশাদার সাংবাদিকরা। সব আইনেই কিছু অসৎ ব্যক্তি অপব্যবহারের সুযোগ নিতে চায়। সেটা আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে কোনো সাংবাদিকতার চর্চা আটকে দেওয়ার সুযোগ নেই। সিএসএ পেশাদার সাংবাদিকতাকে সুরক্ষা দেবে।

অধ্যাপক আরাফাত বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাস করা হয়। সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ আইন করেছে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। তবে কোন তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোন তথ্য গোপন তথ্য- সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে, এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরও প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সাংবাদিকরা যেন এ আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, এ আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন-সেটা চাই। একই সঙ্গে এ আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। আমাদের তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য দেওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সহজলভ্য করা হবে।