সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

কারাগারে জামাই আদরে জাহাঙ্গীর এখনো পলাতক ১৭ আসামি

একরাম হত্যার ১০ বছর

ফেনী প্রতিনিধি

দশ বছর পরেও গ্রেফতার হয়নি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি। এর মধ্যে আটজন শুরুতে গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন পলাতক। একরাম স্বজনদের দাবি, প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আদেল ফাঁসির আসামি হওয়া সত্ত্বেও ফেনী জেলা কারাগারে বছরের পর বছর জামাই আদরে রয়েছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দেওয়ার অজুহাতে তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে না থেকে ফেনী জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন। ২০১৪ সালের ২০ মে প্রকাশ্য দিবালোকে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে নৃংশসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, দলীয় অন্তঃকোন্দলের কারণে হত্যা করা হয় একরামকে। হত্যার সঙ্গে রাঘববোয়ালদের নাম বেরিয়ে এলে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে যায় হত্যাকারীরা। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। হরতাল-অবরোধ-বিক্ষোভসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তারা।

একরাম হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ৩৯ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ২২ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর ৯ জনকে শুরু থেকেই আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক হওয়ার পরও জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক আছেন আটজন। রুটি সোহেল নামে একজন জামিনে থাকা অবস্থায় র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত হন। দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। একরামের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘরোয়াভাবে মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের মাঝে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর