মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যয় বাড়িয়ে দৃশ্যমান নির্মাণকাজ

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অবকাঠামো নির্মাণকাজ। জমি নিয়ে যে জটিলতা ছিল, তাও কেটে গেছে। গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পাওনার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এই প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে ৫৩৩ কোটি টাকা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রামেবির সংশোধিত প্রকল্পে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০২২ সালের ১৪ জুন রামেবি স্থাপন প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদিত হয়। সে সময় নির্মাণসামগ্রীর দাম ধরা হয় ২০১৮ সালের হিসাবে। তখন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরুর আগেই ডিপিপি সংশোধন করা হয়েছে। এতে প্রকল্পের ব্যয় আরও ৫৩৩ কোটি টাকা বেড়েছে।  ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শাহীন মিয়া জানান, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৬৭.৬৭৯২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই ভূমির মোট টাকার পরিমাণ ৭০৫ কোটি ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৯ টাকা। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ১৮২ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৭ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

রামেবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘২০১৮ সালের দর অনুযায়ী প্রথম প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছিল। কিন্তু এখন আগের মূল্যে কাজ করা সম্ভব নয়। এ কারণে ডিপিপি সংশোধন করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েই একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ডিপিপি তৈরিতে গুরুত্ব দিয়েছি। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই অবকাঠামো নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের এপ্রিলে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সরকারি-বেসরকারি ৭৭টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের এমবিবিএস, বিডিএস, ফিজিওথেরাপি ও ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি, বিএসসি নার্সিং এবং মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব কোর্সের শিক্ষার্থী নিবন্ধন, পরীক্ষার ফরম পূরণ, ফলাফল তৈরিসহ সব ধরনের ডেটা এন্ট্রি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় থাকবে ১ হাজার ২০০ শয্যার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। ১০টি চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ৬৮টি বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি ও চিকিৎসাসেবার মানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীতকরণের জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলবে।

 

 

সর্বশেষ খবর