বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই দশক ধরেই সাত পশুর হাট চসিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দুই দশক ধরেই সাত পশুর হাট চসিকের

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে কোরবানি উপলক্ষে নগরে সাতটি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়। দুই দশক ধরে এ বাজারগুলোই ইজারা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে নগরে জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি অস্থায়ী পশুর হাট। ফলে ঘুরেফিরে সেই সাত পশুর হাট নিয়েই চলছে ৭০ লাখ অধ্যুষিত চট্টগ্রাম নগরের পশুর বাজার। সর্বশেষ গত প্রায় ২০ বছর আগে চসিকের উদ্যোগে নূর নগর হাউজিং এস্টেট মাঠে অস্থায়ী বাজারটি বসানো হয়। চসিকের অস্থায়ী সাতটি বাজার হলো- কর্ণফুলী পশুর বাজার, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ ও মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়ে হাট, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ। তাছাড়া, চসিকের তিনটি স্থায়ী বাজার হল সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর বাজার ও পোস্তার পাড় ছাগলের বাজার। তবে এ বাজার তিনটি ইজারা না দিয়ে চসিক নিজেই খাস কালেকশন করছে। চসিক এ বছর নয়টি বাজারের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও যানজটের শঙ্কায় পুলিশের মতামতের ভিত্তিতে সাতটি অনুমোদন দিয়েছে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারের সংখ্যা বৃদ্ধি তো দূরের কথা, যেগুলো আছে সেগুলো টিকিয়ে রাখাই এখন কঠিন।

কয়েকটি বাজার এখনো ইজারা হয়নি। কারণ কোরবানির সময় নগরের অলিতে-গলিতে ও নিজস্ব খালি মাঠে অবৈধভাবে ৫-১০টি পশু নিয়েই বাজার বসিয়ে দেওয়া হয়। এতে বৈধ বাজারগুলোর ক্রয়-বিক্রয় কমে যায়। তাই বিদ্যমান বাজারগুলো টিকিয়ে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ।

চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অস্থায়ী হাটগুলোতে ইজারাদার নিয়োগে গত ২০ মে দরপত্র আহ্বান করা হয়, ৩০ মে ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এবার সাতটি বাজারের বিপরীতে ১৭১টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র ২৬টি। যাচাই-বাছাই শেষে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারাদার হিসেবে  নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর