সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্রেতারা ছুটছেন খামারিদের কাছে

জৌলুস হারিয়েছে লালবাগ গরুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট নগরীর দক্ষিণ প্রান্তের লালবাগের হাট। এই হাট আগের জৌলুস হারিয়েছে। হাটে গরুর সংখ্যাও কম। ক্রেতা নেই বললেই চলে। গরু বিক্রেতাদের অভিযোগ ক্রেতারা খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি গরু কিনছেন। এ ছাড়া আশপাশের গ্রামীণ হাটগুলোতে যাচ্ছেন। ফলে লালবাগের হাটে আগের মতো ক্রেতা নেই। গতকাল দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা গেছে এই দৃশ্য। লালবাগ হাটে একটি গরুর সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৪ লাখ। তবে ৬৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা দামের গরুর সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। এরপরে ৯০ থেকে দেড় লাখ টাকার গরুর চাহিদা বেশি। গরু বিক্রেতা আশিকুর রহমান জানান, তার বাড়ি নগরীর মডার্ন মোড় এলাকায়। তিনি হাটে ৪টি গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। বেলা ২টা পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আসেনি। লালবাগ হাটের আগের ঐতিহ্য নেই। কেনাবেচা নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, বাবা-দাদা এই হাটে গরু বিক্রি করতেন। তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তিনি লালবাগে গরু বিক্রি করতে এসেছেন। এখানে বিক্রি না হলে অন্য হাটে যাবেন।

বিক্রেতা বাবর আলী, আবদুল কালামসহ কয়েকজন জানান, গত বছর হাট কারমাইকেল কলেজ মাঠে সম্প্রসারিত করা হয়েছিল। গরুর আমদানি কম হওয়ায় এবার কারমাইকেল কলেজ মাঠে হাট সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নগরীর কামালকাছনা এলাকার রিঙ্কু মিয়া বলেন, হাটে গিয়ে গরু কিনতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই খামারে গিয়ে গরু পছন্দ করেছি। তারাই কোরবানির একদিন আগে গরু বাড়িতে পৌঁছে দিবেন। তাই কোনো চিন্তা নেই। তার মতো আরও অনেকে একই সুরে কথা বলেছেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালবাগ হাট না জমলেও পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ, বেতগাড়ি, বড়িরহাট শঠিবাড়ি, বদরগঞ্জ, বড়বাড়িসহ অন্যান্য গ্রামীণ হাটে গরু বেচাকেনা জমে উঠেছে। রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে রংপুর বিভাগে পশুর চাহিদা রয়েছে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ১১৭টি। তবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২১ লাখ ৫২ হাজার ৩১৯টি পশু।

 

 

সর্বশেষ খবর