সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

টিকে থাকার লড়াইয়ে সিএনজি ফিলিং স্টেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিএনজি মালিকরা বলেছেন, দেশের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অনেক স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। স্টেশনগুলো খুব কষ্টে ‘ব্রেক ইভেন্টে’ আছে আর কোথাও কোথাও লোকসানে রয়েছে। কমিশন না বাড়লে এই স্টেশনগুলো বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

গতকাল বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভারশন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। রাজধানীর বিজয়নগরে সিএনজি মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাসচিব ফারহান নূর একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের আয়-ব্যয়ের তথ্য তুলে ধরে বলেন, একটি স্টেশনে ২০১৪ সালে ৩০ টাকা বিক্রি করে ৩ টাকা ৫৪ পয়সা থাকত। এখন ৪৩ টাকা বিক্রি করে ২ টাকা ৬৮ পয়সা থাকছে। এই টাকা দিয়ে অপারেশনাল খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে অনেক স্টেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩ টাকা ৪৫ পয়সা আর ২০২৪ সালে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫ টাকা ৪ পয়সা। আমরা বিদ্যুতের বর্ধিত বিল সমন্বয় করার দাবি করছি। বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানো হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয়ের বিধান করার প্রস্তাব করছি।

ফারহান নূর আরও বলেন,  দেশে ৫২৫টি ফিলিং স্টেশন চালু আছে। আমাদের দাবিগুলো নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে দেনদরবার চলছে। ২০১৩ সালে মন্ত্রণালয় থেকে বিইআরসিকে চিঠি দেওয়া হয় বিবেচনা করার জন্য। দ্বিতীয় দফায় ২০১৭ সালের জুনে পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে আবারও বিইআরসিকে চিঠি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আশা করছিলাম সমাধান পাব কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। বর্তমান অবস্থায় ফিলিং স্টেশন চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। জরুরি পণ্য হওয়ায় ধর্মঘট কিংবা আলটিমেটামে যাচ্ছি না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে আবেদন করেছি, মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।

 

সর্বশেষ খবর