শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল সকালে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামউদি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন - পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইউএইর বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল সকালে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামউদির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসস

ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দেশ চাকরি নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশি জনশক্তিকে ভিসা দেবে। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবেন যাদের জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে অনুমতি না দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

উভয় দেশ এ বিষয়ে আরও সচেতন হতে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু মন্ত্রী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন উপায় খুঁজবেন। তিনি বলেন, আমাদের ইতোমধ্যে বেশ বিস্তৃত এবং গভীর বন্ধন রয়েছে, তবে আমরা এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ভিসা দিচ্ছে, সরাসরি ৫০০ এবং ৫০০টি এজেন্টদের মাধ্যমে। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইউএইর প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাঁকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন, সে বিষয়ে আলহামউদি বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ সফর করতে আসা ইউএইর মন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। ইউএই রাষ্ট্রদূত কনটেইনার টার্মিনালসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, সরকার সব সেক্টরে সবকিছুর গতি বাড়াচ্ছে।

ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহ করতে চায়। প্রক্রিয়াটি মূল আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এখন ভ্রমণের আগে এয়ারলাইনস থেকে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর