বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যখন সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের মহাদুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে, ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বড় বড় কর্মকর্তাদের অভিনব দুর্নীতির সংবাদ ভাইরাল হচ্ছে, তাদের দুর্নীতিকে পর্দার আড়ালে রাখতে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। চক্রান্তমূলকভাবে ২১ আগস্টের মামলায় জড়িত করা হয়েছে তাকে। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক ও চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান নেতা তারেক রহমানকে গ্রেফতারের হুমকি গভীর চক্রান্তের অংশ এবং গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা বলে মনে করি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২১ আগস্টের বোমা হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে যুক্ত করা হয়েছে। তারেক রহমানের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করার এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে দুর্বল এবং গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর নিজেদের মতাদর্শের অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে তারেক রহমানের নাম চার্জশিটে ঢোকানো হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে তাদেরই আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর সরকারের সময়সহ দুই দফা তদন্ত ও চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম না থাকার পরও তাকে জড়িত করা সম্পূর্ণরূপে চরম আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। তারেক রহমানের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে সাজা দেওয়া হয়েছে।