শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
তলিয়ে গেছে খুলনা

রেকর্ড বৃষ্টি রাজশাহীতে

অধিকাংশ সড়ক ও বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কের পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ও রাজশাহী

রেকর্ড বৃষ্টি রাজশাহীতে

তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে খুলনা নগরীর অধিকাংশ সড়ক ও বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ। রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত  হয়েছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, গতকাল সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে নগরীর খালিশপুর মুজগুন্নি, বাস্তুহারা কলোনি, হাউজিং এলাকা, ফুলবাড়ি গেট, রেলিগেট, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, নতুন রাস্তা মোড়, আলমনগর, নেভি চেকপোস্ট, রায়েরমহল, বয়রা বাজার, গল্লামারি, গোবরচাকা নবীনগর, ময়লাপোতা, রয়েল মোড়, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মহিরবাড়ি খালপাড়, রূপসা ঘাট, নতুন বাজারসহ নগরীর ১ হাজার ২১৫টি সড়কের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পানিতে ডুবে যায়। নাগরিক নেতারা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে সিটি করপোরেশন গত ছয় বছরে ৫০২ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূর নদসহ সাতটি খাল খনন ও ড্রেনে সংস্কারকাজ করলেও ভোগান্তি কমেনি। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পলিথিনসহ নানা রকম ময়লা, আবর্জনায় নালা-নর্দমার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় বৃষ্টি হলেই পানি চলাচল বন্ধ হয়ে ড্রেন উপচে পানিতে সয়লাব হয় চারপাশ। খালিশপুর হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে বসতঘর, বাথরুম ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ির সবাই মিলে পানি সরানোর চেষ্টা করছি। সিটি করপোরেশনের প্রধান কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে চলমান প্রকল্পগুলো এবং খাল খননের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না। অন্যদিকে রাজশাহীতে বর্ষা মৌসুমের সর্বোচ্চ ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। যা হয়েছে ১২ ঘণ্টায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৯ জুন রাজশাহীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, ৩০ জুন ৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার ও ১ জুলাই ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। ৩ জুলাই ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কখনো গুঁড়িগুঁড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির মধ্যে বেশির ভাগ সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে রাজশাহী নগরীর উপশহর, উপশহর নিউমার্কেট, সপুরা করবস্থানের উত্তরের সড়ক, বর্ণালী মোড় ও সাহেববাজারের সড়কে পানি জমে যায়। এখনো বিভিন্ন এলাকায় জমে আছে বৃষ্টির পানি। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীতে ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির চেয়ে বেশি সময় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এর আগে ৩ জুলাই বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৫৮ মিলিমিটার। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোছা. উম্মে ছালমা বলেন, এই বৃষ্টি ফসলের জন্য ভালো হয়েছে। জমিতে কৃষকরা ধানের বীজ ফেলছেন। পাটের জন্যও ভালো হলো। জমিতে কৃষকের ক্ষতি হওয়ার মতো কোনো ফসল নেই। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন শাকসবজিও ভালো হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর