সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

চমেক হাসপাতালে কমছে ভর্তি রোগী

কোটা সংস্কার আন্দোলন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সাধারণত প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ পর্যন্ত। তবে গত কয়েক দিনের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে অন্তঃবিভাগে রোগী ভর্তি কমেছে। একই সঙ্গে বহির্বিভাগেও কমেছে রোগী। তবে অন্তঃবহি ও জরুরি বিভাগে নিয়মিত রোগীর চিকিৎসা সেবা চলমান আছে। তা ছাড়া, ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও কমছে ভর্তি রোগী।

অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বহদ্দার হাটে নিহত তরুণের পরিচয় মিলেছে। গতকাল তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, চমেক হাসপাতালই বৃহত্তর চট্টগ্রামের প্রায় ৪ কোটি মানুষের নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। হাসপাতালে ২ হাজার ২০০ শয্যার বিপরীতে নিয়মিতই রোগী ভর্তি থাকে ৩ হাজার ২০০ পর্যন্ত। কিন্তু গত কয়েকদিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ভর্তি রোগী কমেছে। গতকাল হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল প্রায় ২ হাজার ৫০০। তা ছাড়া, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৩ জন। এর মধ্যে একজনকে আইসিইউ থেকে গতকাল ওয়ার্ডে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ১৫০ জন।

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রাজিব পালিত বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ২৩ জন ভর্তি আছেন। তবে সবার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। একজনকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে রোগী ভর্তি কমছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় অনেকে আসতে পারছেন না। বিশেষ জরুরি না হলে স্থানীয়ভাবেই চিকিৎসা সম্পন্ন করছেন।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শওকত আল আমিন বলেন, সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কমছে ভর্তি রোগী। গতকাল হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে মোট ৯৭ জন এবং গত শনিবার ভর্তি ছিলেন ৯৯ জন। সাধারণ সময়ে আরও অনেক বেশি রোগী ভর্তি থাকে।

এদিকে, চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তরুণের পরিচয় মিলেছে। গতকাল সকালে তরুণের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত তরুণের নাম মো. সাইমুন (১৫)। তার বাড়ি সন্দ্বীপ। সে বহদ্দার হাটের একটি ফলের দোকানে কাজ করত।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে নগরের বহদ্দার হাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় একজন তরুণসহ দুজন মারা গেলেও তরুণের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে তাকে চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।

পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ চাকমা বলেন, ইন্টারনেট ব্যবস্থা না থাকায় আঙুলের ছাপ নিয়েও বহদ্দার হাটের ঘটনায় নিহত তরুণের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে গতকাল তরুণের পরিচয় মেলার পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর