পর্যটন খাতে ভর্তুকি সুবিধাসহ বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে এতে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে পারলে এ খাত দেশের টেকসই উন্নয়নে অন্যতম ক্ষেত্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, পর্যটন ব্যবসার স্থায়িত্বের জন্য ভর্তুকি সুবিধাসহ বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। ছোট ছোট পর্যটন সংস্থাগুলোকে ভর্তুকি দিয়ে বুমিং করতে হবে। যেখানে ভলান্টিয়ারি সুযোগ কম সেখানে সরকারি পলিসি তৈরি করে, টেকনোলোজি বাড়িয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হবে। এতে টেকসই উন্নয়নে পর্যটন একটি অন্যতম ক্ষেত্র হবে।
গতকাল পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ‘এসডিজি অর্জনের জন্য পর্যটন : বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)।
অনুষ্ঠানে তৌহিদ হোসেন বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে পর্যটনশিল্প আমাদের অর্থনীতি এবং কর্মক্ষেত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যা পরবর্তীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসনে কাজ করছে। পরিকল্পিত ম্যানেজেবল পর্যটন পরিবেশগত কালচারাল হেরিটেজ সংরক্ষণ, বাণিজ্য সুযোগ বৃদ্ধি ও আন্তসাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে।তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক জিডিপির এক চতুর্থাংশ অবদান রাখে পর্যটন শিল্প। দারিদ্র্য দূরীকরণ, লিঙ্গবৈষম্য, পরিবেশ রক্ষায় এর ভূমিকা রয়েছে। তাই এ সেক্টরে অধিক পরিমাণে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং অর্থপ্রবাহ প্রয়োজন। এ ছাড়া এ সেক্টরে দীর্ঘ প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করতে বাৎসরিক ১০০ বিলিয়ন বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্যুরিজম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক আবু সুফিয়ান।