শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

শোলাকিয়ায় ভেজা মাঠে লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়

শোলাকিয়ায় ভেজা মাঠে লাখো মুসল্লির নামাজ আদায়

আগেরদিন রাত থেকে ঈদেরদিন সকাল ৭ টা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হালকা বৃষ্টি অনেকটা স্বস্তি এনে দেয় ঈদজামাতে আগত মুসল্লীদের। দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ শোলাকিয়ায় ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য সকাল থেকেই মুসল্লিরা দলে দলে আসতে শুরু করেন। বৃষ্টির কারণে মাঠ কিছুটা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। তার ওপরই মুসল্লীরা পলিথিন ও জায়নামাজ বিছিয়ে কাতারবন্দি হন। সকাল ৯ টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে ১০ মিনিট পিছিয়ে দেওয়া হয় জামাত। এ মাঠের জন্য এটি ১৮৬ তম ঈদুল আযহার জামাত। জামাতে ইমামতি করেন ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ।

এবার কর্তৃপক্ষের দায়সারা প্রস্তুতিতে ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাই করা হয়নি মাঠে। অন্যান্য সময় মাঠে বালু ফেলা হলেও এবার তা করা হয়নি। ফলে মুসল্লীদেরকে কাদা পানিতেই সেজদা দিতে হয়েছে।

ঈদুল আজহায় কোরবাণীর বাধ্য বাধকতা থাকায় বিভিন্ন মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ফলে ঈদুল ফিতরের তুলনায় শোলাকিয়ায় ঈদুল আযহার জামাতে মুসলস্নীর সংখ্যা কম হয়। এবার স্থানীয় মুসলস্নী ছাড়াও বগুড়া, শেরপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও অনেক মুসল্লী এ মাঠে নামাজ আদায় করেছেন।

জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মো: জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লীদের নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে প্রশাসন। নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম ওম্মাহ, দেশ ও জনগণের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। মোনাজাতে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের জন্যও দোয়া করা হয়। ঈদ উপলক্ষে ঈদগাহের পাশে মেলা বসে। মেলায় কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, মুখরোচক খাবার, শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন তৈজসপত্রের পসরা বসে।

 

 

সর্বশেষ খবর