শিরোনাম
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

বিনা টেন্ডারে খাম্বা স্থানান্তর বিদ্যুৎ বিভাগে তোলপাড়

বিনা টেন্ডারে খাম্বা স্থানান্তর বিদ্যুৎ বিভাগে তোলপাড়

ভোলায় অবৈধভাবে বিদ্যুতের পোল (খাম্বা) সরাতে গিয়ে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সমগ্র জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকে। এর ফলে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাচনী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন প্রার্থীসহ সাধারণ গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সংস্কারের নামে সরকারি টাকা খরচ করে বিনা টেন্ডারে খাম্বা সরানো হয়। এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ভোলায় সাব স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণের নামে ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের নামে কোনো অনুমোদন ছাড়া ভোলা সদর উপজেলার আগারপুল এলাকায় ৩৩ কেভি বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের অন্যত্র স্থানান্তরে কাজ শুরু করে। জানা যায়, ভোলা বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তিনটি নতুন খাম্বা পুঁতে পুরাতন খাম্বা থেকে তারগুলো নতুন খাম্বায় স্থানান্তর করছে। এ ব্যাপারে ভোলা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদন নিয়ে আমার খাম্বা সরাচ্ছি। কিন্তু অনুমোদনের তারিখ ও স্মারক নং আছে কিনা জানতে চাইতে তিনি ফোন কেটেদেন। উপ-প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, লাইন সরানোর কাজটি ২১ শহর প্রকল্পের মাধ্যমে সরানো হচ্ছে। কাজ করছেন ঠিকাদার বাবুল। অথচ ওজোপাডিকোর এমডি আবুল কালাম আযাদ বলেন, ওই লাইন সরাতে হলে অনুমোদন লাগে। কিন্তু এর কোনো অনুমোদন নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোনো খাম্বা সরাতে হলে কোনো ব্যক্তি আবেদন করলে তা যাচাই-বাছাই করে স্টিমেট করার পর আবেদনকারী লাইন স্থানান্তরের জন্য স্টিমেটের টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এর পর টেন্ডারের মাধ্যমে ওই কাজ ঠিকাদার সম্পন্ন করে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, আগারপুল এলাকার কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে সরকারি টাকা খরচ করে বিনা টেন্ডারে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ কাজটি করেছেন। এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাবির উদ্দিন বলেন, তিনি খবর পেয়ে দুপুরে অবৈধ খাম্বা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ করে দেন।

 

 

সর্বশেষ খবর