শিরোনাম
বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

ত্রাণের জন্য হাহাকার

ত্রাণের জন্য হাহাকার

পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ দেশের প্রধান প্রধান সব নদনদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জের নিুাঞ্চলে বন্যা ও জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বাসস্থান ও খাবারের অভাব তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে না বিশুদ্ধ পানি। গো-খাবারের অভাবে কষ্টে পড়েছে গৃহপালিত পশু। মানুষ অভিযোগ করছে, দুর্গত মানুষকে দেখতে প্রশাসন থেকে কেউই ঠিকমতো খোঁজখবর নেয় না। ত্রাণের জন্য তারা হাহাকার করলেও তেমন ত্রাণ তারা পাচ্ছে না। এদিকে পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙন এবং অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগর উপজেলার নদীতীরবর্তী নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। দুই দিন কিছুটা পানি কমার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনার পানি। দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী, মাদারগঞ্জ উপজেলার আরও অন্তত ১৫টি গ্রাম নতুন করে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। আরও আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল বিকালে হেলিকপ্টারে চড়ে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পরিস্থিতি দেখে যান। তবে মন্ত্রী মাটিতে অবতরণ না করায় এলাকাবাসী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বর্ষণ বন্ধ হওয়ায় সুরমার পানি কমেছে ৩৩ সেন্টিমিটার। তবে সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোয় অনেক স্থানে এখনো মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের তারাবুনিয়া ও নড়িয়া চণ্ডীপুরে ৪৫০টি বসতবাড়ি, ৯৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কুড়িগ্রামে চরের লক্ষাধিক মানুষ ১৪ দিন ধরে পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দেওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ জানান, বন্যার্তদের জন্য ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ টাকা। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তার ভাঙনের শিকার ও বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ উপজেলার সাত ইউনিয়নের ১ হাজার ১৭৫টি পরিবারের মাঝে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর