ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার নোয়াগাঁয়ে বিএনপি নেতা আইয়ুব আলীর শোকসভায় এ ঘটনা ঘটে। নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আইয়ুব আলীর শোকসভায় প্রধান অতিথি করা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে গতকাল শেখ আশরাফ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শোকসভা চলাকালে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ফেনী প্রতিনিধি জানান, দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পতিপক্ষ গ্রুপের গুলিতে পারভেজ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সংঘর্ষ চলাকালে নেতা-কর্মীরা উপজেলা শহরে ও আশ-পাশের এলাকায় শতাধিক ককটেল বিস্ফারণ ঘটায়। ভাঙচুর করেন ১০টি গাড়ি।
সুনামগঞ্জে গুলিবিদ্ধ ৩০ : সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ছাতক উপজেলার দেওলা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ করে চার গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ৩০ জনসহ গুরুতর ৫৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। কালারুকা ইউনিয়নের খাইরগাঁও, করছখালি, লম্বাহাটি ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামবাসীর মধ্যে গতকাল এ সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খাইরগাঁও গ্রামের সাহাব উদ্দিন ও হুসিয়ার আলী দেওলা বিলের একটি ডোবা পাম্প মেশিন দিয়ে সেচে মাছ ধরতে শুরু করেন। গতকাল মোহনপুর গ্রামের আবু বক্কর পানি সেচে বাধা দিলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে মোহনপুর ও খাইরগাঁও গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে করছখালি ও লম্বাহাটি গ্রামের লোকজন খাইরগাঁও গ্রামের পক্ষে সংঘর্ষে যোগ দেন।