শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
সরেজমিন স্বাস্থ্যসেবা (২০)

একজন কনসালট্যান্ট চালায় অপারেশন নেই মেডিকেল অফিসার

জয়পুরহাট সদর হাসপাতাল

একজন কনসালট্যান্ট চালায় অপারেশন নেই মেডিকেল অফিসার

জয়পুরহাট জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবা সীমাবদ্ধ রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মধ্যে। ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী স্বল্পতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স। ৯ নভেম্বর ১৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় রূপান্তরের ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অথচ ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১০০ শয্যা থেকে ১৫০ শয্যায় উনি্নতকরণের সাত বছর পর ২০১৩ সালে মিলেছে অতিরিক্ত ৫০ শয্যার পথ্য ও ওষুধ সুবিধা। জনবল মিলেনি একজনও। বর্তমানে এই হাসপাতালে সাতজন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র দুজন। একজন কনসালট্যান্ট দিয়ে চলছে অপারেশন। দীর্ঘ দিন নেই যৌন, চর্ম, ইএনটি, অর্থপেডিঙ্ বিশেষজ্ঞ। জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী স্বল্পতাসহ অন্য যে অসুবিধা রয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আবদুল জলিল জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর জন্য ডাক্তার ও কর্মচারীর চাহিদা দিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। অচিরেই সমস্যা সমাধান হবে। ১৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে ৪৫ ডাক্তারের বিপরীতে রয়েছেন ৩১ জন, স্টাফ নার্স ৪০ জনের বিপরীতে আছেন ৩৩ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ ফাঁকা ১৭টি। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজের জন্য স্থানীয়ভাবে যে ১৬ জন ঝাড়ুদার রয়েছেন তারা বেতন পাননি চার মাস। পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুরে একই দশা। এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞসহ ৯৬ জন ডাক্তার প্রয়োজন হলেও রয়েছে ৫৯ জন। অপারেশনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার, নার্স ও কিছু যন্ত্রপাতি স্বল্পতায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অপারেশন হচ্ছে না দীর্ঘদিন। সামান্য কিছু হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তাররা রোগীদের জেলা হাসপাতালে যেতে বলছেন। আক্কেলপুর উপজেলার তিলেকপুরের শামীমা জানান, পেটের ব্যথার জন্য গত রবিবার আক্কেলপুর হাসপাতালে গেলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে সদর হাসপাতালে যেতে বলেন। একইভাবে অন্য উপজেলার একাধিক রোগী তাদের দুর্ভোগের কথা জানান।

 

 

 

সর্বশেষ খবর