রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
অবরোধ হরতাল

অচল নৌবন্দরে আটকা লক্ষাধিক টন সার

টানা অবরোধ আর হরতালে অচল হয়ে পড়েছে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বন্দরে আটকা পড়েছে লক্ষাধিক টন ইউরিয়া সার। নিরাপত্তার কারণে দেশের অন্যতম এ নৌ-বন্দর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না মালবাহী ট্রাক ও নৌযান। দু-একটি ট্রাক ছেড়ে গেলেও শিকার হচ্ছে হামলা অগ্নিসংযোগের। নৌ-বন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শত শত জাহাজ বিভিন্ন পণ্য ও সার নিয়ে বন্দরে নোঙর করে। এসব জাহাজ থেকে সারসহ পণ্য পাঁচ শতাধিক ট্রাকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদিত ইউরিয়া ট্রাক ও জাহাজে সরবরাহ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের সাত শতাধিক ডিলারের কাছে। ডিলাররা কারখানা থেকে সার উত্তোলন করতে পারলেও অবরোধের কারণে নিজ নিজ জেলায় নিয়ে যেতে পারছে না। বন্দরে আটকা পড়া সার দ্রুত সরবরাহ না করলে চলতি মৌসুমে সার সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারনা ডিলারদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. তৌহিদুল ইসলাম নাছির জানান, টানা অবরোধে আশুগঞ্জ নদী বন্দর থেকে ট্রাকে সার পরিবহন করা যাচ্ছে না। ট্রাক রাস্তায় গেলেই হামলার শিকার হয়। এতে ট্রাক মালিকদের দৈনিক ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। জেলা সার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জালাল মিয়া জানান, আশুগঞ্জ সার কারখানায় লক্ষাধিক মেট্রিক টন সার আটকে আছে। সার উত্তোলন বন্ধ না থাকলেও পরিবহন বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে দু-একটি ট্রাক ছাড়তে চাইলেও ভাড়া হাকছে দ্বিগুণের বেশি।
শ্রমিক সংঘর্ষে খালাস বন্ধ : এদিকে লোডিং শ্রমিক ও কার্গো শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা সার আশুগঞ্জ কারখানায় সরবরাহের জন্য বন্ধ রয়েছে। খালাস বন্ধ থাকায় সৌদি আরব, কাতার ও চীন থেকে আসা ৭৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩৫ হাজার মেট্রিক টন সার নিয়ে আসা অর্ধশতাধিক কার্গো ঘাটে বসে রয়েছে। বেকার বসে আছেন সার খালাসে জড়িত সাত শতাধিক শ্রমিক। আশুগঞ্জ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদেশ থেকে আসা জাহাজের ওপরে থাকা খোলা সার পরিষ্কার করা নিয়ে লোডিং শ্রমিক ও এমভি বিএনসি-১ জাহাজের শ্রমিকদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এর জেরে নৌযান শ্রমিকরা গতকাল সকাল থেকে সার খালাস বন্ধ রেখেছে।

সর্বশেষ খবর