রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা
সুনামগঞ্জ বিএনপি

অন্তর্দলীয় চার মামলায় আসামি সহস্রাধিক

অন্তর্দলীয় চার মামলায় আসামি সহস্রাধিক

সারা দেশে বিএনপি যখন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে, ঠিক সেই সময়টাতে চরম অন্তর্দলীয় কোন্দলে ব্যস্ত সুনামগঞ্জে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। দলীয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের পর চলমান আন্দোলনে নামবেন তারা- এমন তির্যক মন্তব্য শোনা যায় দলীয় পরিমণ্ডলে। ফলে জেলাজুড়ে অন্তর্দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত তারা। জেলা সদরে তিন এবং বেশিরভাগ উপজেলা ও পৌরসভায় দুইয়ের অধিক গ্রুপে বিভক্ত দলীয় নেতা-কর্মীরা। দিন যত গড়াচ্ছে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলে ততই বাড়ছে গ্রুপ-উপগ্রুপের সংখ্যা। অবরুদ্ধ দলীয় প্রধানের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাকও দমাতে পারছে না বিবদমান পক্ষগুলোকে। এদিকে পুলিশ অথবা আওয়ামী লীগের মামলায় নয়, সুনামগঞ্জে বিএনপির মামলায় কাবু বিএনপি। ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জে গ্রুপিং মারামারির ঘটনায় চার মামলায় আসামি হয়েছেন সহস্রাধিক নেতা-কর্মী। অন্তর্দলীয় সংঘর্ষের এসব মামলায় নাজেহাল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অন্যদিকে ৫ জানুয়ারির পর যোগ হয়েছে পুলিশের দায়ের করা আরও তিনটি মামলা। একদিকে অন্তর্দলীয় চরম কোন্দল আর অন্যদিকে গ্রেফতার আতঙ্ক- দুয়ে মিলে এখন ফাঁকা সুনামগঞ্জে বিএনপির আন্দোলনের মাঠ। যে কারণে চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীর উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়ে না। দলীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি জেলার সব উপজেলা, পৌরসভা ও থানার ১৬টি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। কমিটি ঘোষণার পর পর পাল্টে যায় দলীয় 'ক্ষমতা'র দৃশ্যপট। বিভিন্ন ইউনিটে পদ-পদবি হারান সাবেক সভাপতি ফজলুল হক আছপিয়া সমর্থকরা। দলীয় 'ক্ষমতা' চলে আসে বর্তমান জেলা আহ্বায়ক নাছির চৌধুরীর অনুসারীদের হাতে। প্রতিক্রিয়ায় অনেক স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে চরম অন্তর্দলীয় কোন্দল। প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের লড়াইয়ে নামে বেশিরভাগ নেতা। ফলে জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে একপক্ষ আক্রান্ত হলে, খুশিতে তালি বাজাচ্ছেন অপরপক্ষের লোকজন। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল হক আছপিয়া বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য বর্তমান জেলা আহ্বায়ক কমিটি দায়ী। বিভিন্ন স্থানে তাদের পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্তের কারণে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বড় দলে অন্তর্দলীয় কোন্দল থাকা অস্বাভাকি না। প্রতিটি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়ে গেলে এসব কোন্দল মিটে যাবে।

 

সর্বশেষ খবর