শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
দুর্ভোগে গ্রাহক

বিদ্যুৎ বিলের ১৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা

প্রায় এক হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলের ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গাঢাকা দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের দলদলী ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা সেলিম রেজা। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দে বিল জমা দিলেও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে বিল বকেয়া থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এ অবস্থায় প্রতারণার শিকার মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি সেবা থেকে। জানা গেছে, দলদলী ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দে র উদ্যোক্তা সেলিম রেজা ২০১৩'র ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে নির্ধারিত রসিদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু টাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কাছে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। চলতি বছরের শুরুতে কয়েক গ্রাহকের মিটার নষ্ট হলে অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হয়। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দে র নারী উদ্যোক্তা রোকসানা খাতুন জানান, সেলিম বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা নিতেন এবং টাকা জমা দেওয়ার আইডি পাসওয়ার্ড তার কাছেই থাকতো। বিষয়টি জানার পর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সেলিমের কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার বিদ্যুৎ বিলের রসিদ উদ্ধার করেন। এরপর থেকে সেলিম তথ্যসেবা কেন্দে আসেন না। দলদলী ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম জানান, আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। আর লোকসান তুলতে গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভূতুড়ে বিল। অভিযুক্ত সেলিম রেজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে প্রজন্ম লীগের নেতা দাবি করে জানান, বিষয়টি সুরাহার জন্য ইউএনওর মাধ্যমে চেষ্টা চলছে। তবে ভোলাহাটের ইউএনও আবু হায়াত মো. রফিক জানান, সেলিম রেজা অঙ্গীকারনামার শর্ত অনুযায়ী দুই কিস্তিতে আত্মসাত করা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি শর্ত ভঙ্গ করে বার বার সময় আবেদন করলে তা নাকচ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পল্লীবিদ্যুতের বিধান অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সিমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী হাসান শাহ নওয়াজ বলেন, সেলিমের বিরুদ্ধে ১৩ লাখের কিছু বেশি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

সর্বশেষ খবর