বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রলীগ ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহির শাহরিয়ারসহ দুই পক্ষের পক্ষের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র বিরোধ চলে আসছিল। নিজেদের মধ্যকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ বিরোধের সূত্রপাত। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাবু বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক বন্ধুর বাসা থেকে ইফতার করে ফেরার পথে জসিম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তাকে আটকে মারধর করে। এ সময় বাবুর মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ করে তারা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাকৃবি ছাত্রলীগ জসিম গ্রুপকে পাল্টা ধাওয়া দেয়। পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু অভিযোগ করেন, জসিম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা হামলা করে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে এবং বাকৃবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিরকে কুপিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলেছে। পরে তারাই তাদের পকেটে অস্ত্র ঢুকিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাকৃবি ছাত্রলীগ অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার সময় স্থানীয় কেওয়াটখালী এলাকাবাসী চারজনকে গণধোলাই দিয়ে অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী বাকৃবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুলসহ তিনজনকে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। তবে আমরা তাদের আটক করিনি। আমরা যাছাই-বাছাই করে দেখছি। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর