সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

শ্রাবণে জ্যৈষ্ঠের খরতাপ হুমকিতে আমন আবাদ

শ্রাবণে জ্যৈষ্ঠের খরতাপ হুমকিতে আমন আবাদ

পঞ্চগড়ে বালতি দিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছেন কৃষক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভরা বর্ষা মৌসুম। কেটে গেছে শ্রাবণের প্রায় অর্ধেকটা সময়। কিন্তু দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দেখা নেই শ্রাবণের সেই চিরচেনা বৃষ্টির। উল্টো এ জেলায় যেন চলছে জ্যৈষ্ঠের খরতাপ। রোদের তীব্রতায় হাশফাঁস করছে মানুষ, প্রাণি আর প্রকৃতি। শ্রাবণেও এমন আবহাওয়া বিরাজ করায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। হুমকির মুখে রয়েছে আমন আবাদ।

তেঁতুলিয়ার গিতালগছ, বৈরাগীগজ, চান্দিয়াগজ ও বোদা উপজেলার হাবসীপাড়া, ঝলইসহ কয়েকটি গ্রাম গতকাল ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক নলকূপের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে আমন আবাদ করছেন। কেউ কেউ বালতিতে করে পানি এনে ধানের চারা লাগাচ্ছেন। অনেক এলাকায় লাগানো আমন চারা শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে এসব চারা মরে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স. ম. আশরাফ আলী জানান, চলতি বছর কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়নি। ১২৬টি গভীর ও ৮১৩টি অগভীর নলকূপের সাহায্যে আমন চাষ চলছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হতে পরে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও সেই চিরচেনা বৃষ্টি হয়নি। দু' একদিন ছিটেফোটা বৃষ্টি হলেও সড়কের ধুলোও ভিজেনি।

লালমনিরহাটেও দাবদাহ : লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান লালমনিরহাটেও প্রচণ্ড দাবদাহে আমন খেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ জেলার কৃষকরা। শ্রাবণের মাঝামাঝি সময় আমন চাষের মৌসুম হলেও পানির অভাবে চারা নষ্ট হচ্ছে। পাট পচাতেও হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা। এ জেলায় গতকালও তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার তিন ভাগের একভাগ জমিতে এখনো আমন চারা রোপণ করা যায়নি। আবার যেসব জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে রোদে তাও পুড়ে যাচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর