শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
কোমেন ও টানা বর্ষণের প্রভাব

চার জেলায় সাড়ে চারশ কোটি টাকার ক্ষতি

দেশের ওপর দিয়ে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় কোমেন এবং কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবমতে কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনীতে ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে চারশ কোটি টাকারও বেশি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলা। এ জেলায় ক্ষতি হয়েছে চারশ কোটি টাকার। এছাড়া নোয়াখালীতে ৪০, কুমিল্লায় ১০ এবং ফেনীতে ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে সাত কোটি টাকা। তবে এখানে সব জেলার সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। কোনো কোনো জেলার শুধু কৃষি অথবা শুধু মাছ চাষিদের ক্ষতির হিসাব উঠে এসেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কক্সবাজার : প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে, কক্সবাজারে আটটি উপজেলার ৬৬ ইউনিয়নে প্রায় চারশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৬৬ ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার সদরে আটটি, রামুতে ১০টি, চকরিয়ায় ১৯টি, পেকুয়ায় সাতটি, মহেশখালীতে আটটি, কুতুবদিয়ায় ছয়টি, উখিয়ায় একটি ও টেকনাফের ছয়টি। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা উল্লেখ করা হলেও তা আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলো সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন মহলে বিস্তারিত জানিয়েছি।

নোয়াখালী : কোমেনের আঘাত ও জলমগ্ন হয়ে নোয়াখালীতে নষ্ট হয়েছে এক হাজার ৬৩০ হেক্টর সবজি খেত। সরকারি হিসাবে এতে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক এসব চাষি পাননি সরকারিভাবে কোনো সহায়তা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য্য জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকরা যাতে নতুন করে বীজ সংগ্রহ করে সবজি লাগাতে পারেন সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা : বন্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে নাঙ্গলকোট, লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম। নাঙ্গলকোটের শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। নাঙ্গলকোটের ইউএনও সাইদুল আরীফ জানান, এই উপজেলার মাছ চাষীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলায় শত শত কিলোমিটার পাকা-কাচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।

ফেনী : ফেনীতে বন্যায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমির ফসল ও সবজি নষ্ট হয়েছে। সরকারি হিসাবে, কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা। এ জেলায় সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমন বীজতলার। তিন হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হলেও ভারী বর্ষণে ডুবে যায় প্রায় সাড়ে সাতশ হেক্টর জমির বীজতলা। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো হল- ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও ফুলগাজী।

 

সর্বশেষ খবর