শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
নাটোরে দুই মাদরাসা শিক্ষকের কারাদণ্ড

ছাত্রী ও অভিভাবকদের মানববন্ধনে হামলা

জেলার বড়াইগ্রামে মহিলা মাদরাসার দুই শিক্ষককে যৌন হয়রানির দায়ে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন একই মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের নারী-পুরুষ অভিভাবকরা।

এ সময় তাদের উপর লাঠি নিয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মদপুর হযরত আয়েশা (রা.) মহিলা মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন তার অভিভাবক। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসায় গিয়ে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন ও মোবারক হোসেনকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান এবং মাদরাসাটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো সাড়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদরাসার সামনে মানববন্ধন করেছেন মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ এলাকার কয়েকশ নারী ও ছাত্রী। এ সময় সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রতিবাদকারী সাইফুল ইসলাম ও মাদরাসা শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনকে ব্যাপক মারপিট করে এবং রোকনুজ্জামান রোকন নামে অপর এক মৌলভীকে মারতে মারতে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় মাদরাসার ছাত্রী ও তাদের অভিভাকরা হামলাকারীদের বিচার দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা জানান, যে ছাত্রীর অভিযোগে দুজন হাফেজ শিক্ষককে জেল-জরিমানা করা হলো সেই ছাত্রী ছয় বছর আগে হাজী মোহাম্মদ আলী নামে অপর এক বৃদ্ধ ক্বারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছিল এবং পরে ওই বৃদ্ধ হাজীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মাদরাসার কোনো ছাত্রী এমন অভিযোগ না করলেও একই ছাত্রী বার বার একই অভিযোগ করায় বিষয়টি সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

 

সর্বশেষ খবর