শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

\\\'নষ্টা\\\' আখ্যা দিয়ে ছাত্রী বহিষ্কার

\\\'নষ্টা\\\' আখ্যা দিয়ে ছাত্রী বহিষ্কার

বাগেরহাটে 'নষ্টা' আখ্যা দিয়ে এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম হারুনের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেন। মেয়েটির নাম মুক্তি আক্তার।

মুক্তির পরিবারের অভিযোগ, বাধাল আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে গত ১ জুলাই শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। এর ফলে ওই শিক্ষক বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেন। আলমগীর হলেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতির ভাগ্নে। জানা যায়, মুক্তি ২৫ জুলাই স্কুলে গেলে সভাপতি তাকে বলেন, তুই একটা নষ্ট মেয়ে। তুই স্কুলে এলে সব ছেলেমেয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। পরে তার নির্দেশে ওই দিন প্রধান শিক্ষক তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেয়। মুক্তির বড় ভাই মাহাফুজ অভিযোগ করেন, লম্পট শিক্ষক আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তার বোনকে দুশ্চরিত্রা আখ্যা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন। তার বোনের জীবনটা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন তারা। দরিদ্র হওয়ায় তারা এ বিষয়ে কোথাও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন। মুক্তির বাবা মো. হারুন খান জানান, আসামিপক্ষ এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করছে। আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য মামলার সাক্ষীদেরও বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে তারা। এখন তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আতঙ্কে আছেন। প্রধান শিক্ষক উপেন্দ নাথ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার পর স্থানীয়ভাবে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাই মুক্তি আক্তারকে কিছুদিনের জন্য স্কুলে আসতে বারণ করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীকে তিনি স্কুলে আসতে বাধা দিতে পারেন কি না ? প্রশ্ন কারা হলে জানান, কমিটি সভাপতির নির্দেশে পালন করেছেন মাত্র। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম হারুন বলেন, 'নষ্টা' ওই ছাত্রী স্কুলে গেলে তার সহপাঠীরা ক্লাস বর্জন করে। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। কেন ওই ছাত্রীকে নষ্টা বলছেন? এই প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি সভাপতি।

 

সর্বশেষ খবর