শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

সাত দফা তদন্ত...

ময়মনসিংহে সিআইডি পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সাত দফা তদন্ত হলেও তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা। প্রতিটি তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহীদুল্লাহর অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এতে অভিযুক্ত এ পুলিশ কর্মকর্তা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মৃগালী গ্রমের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে শহীদুল্লাহ বলেন, 'আমি কারো জমি দখল করিনি তবে অনেকের সঙ্গে জমি নিয়ে আমার মামলা আদালতে চলমান। আমার বিরুদ্ধে বহু তদন্ত হয়েছে। এতে কিছু যায় আসে না।' জানা যায়, মৃগালী গ্রামের মুর্তজা বেগম, জব্বারসহ কয়েকজন ২০১৪ সালে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে তদন্তে আসেন তৎকালীন গৌরীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন তালুকদার। একই বছর ১২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ তদন্ত করেন সিআইডি ঢাকা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপার আখতারুজ্জান। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর তৃতীয় এবং ১৮ সেপ্টেম্বর চতুর্থ দফায় তদন্ত করা হয়। চলতি বছর ২২ জুন একই অভিযোগ তদন্তে আসেন সিআইডি পুলিশ হেড কোয়াটারের সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজুম মনিরা। সর্বশেষ ৩০ জুন কিশোরগঞ্জ সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এবং একই দিন বর্তমান গৌরীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আখতারুজ্জামান তদন্ত করেন। সবগুলো তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললেও নেওয়া হয়নি আইনি ব্যবস্থা। উল্টো যারা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তারা এখন শহীদুল্লার স্ত্রীর করা ৯টি মামলার আসামি।

সর্বশেষ খবর