জেলার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে স্বামী তার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ধারালো ছোরা দিয়ে দুই কান কেটে নিয়েছেন বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী জালাল উদ্দিনকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চারজনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে মুরাদনগর উপজেলার ফুলঘর গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের মেয়ে তানজিনা আক্তারের সঙ্গে উপজেলার ডালপা গ্রামের কামাল মুন্সীর ছেলে জালাল উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় তানজিনার ওপর নির্যাতন চালায় তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন। যৌতুক না পেয়ে জালাল উদ্দিন এক সন্তানের জননী তার স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে ধারালো ছোরা দিয়ে দুই কান কেটে ফেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা তার স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে তানজিনার চাচা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে তানজিনার স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন। মুরাদনগর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি জালাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
