বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

গ্রাহকের আট লাখ টাকা হাতিয়ে নিল দালালরা

নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২

মো. নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রামে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় এডিপির অর্থায়নে নির্মিত বিদ্যুৎ লাইনের গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে আট লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালালচক্র। ৬২০ টাকা জামানতের বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গ্রাহকের কাছ থেকে চক্রটি আদায় করেছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে। এছাড়া পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুতের খুঁটি বসিয়ে ১০-২০ হাজার টাকা হাতিয়ে সেসব সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় সমিতির জিএমের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এডিপির অর্থায়নে উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের আদগ্রাম বটতলা মোড় থেকে চণ্ডিপুর পর্যন্ত দুটি প্রকল্পে ৫ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার লাইন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ৩৮১ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এ কাজ স্থানীয়ভাবে তদারকির জন্য একাব্বর হোসেন মাস্টারকে সভাপতি ও তোফাজ্জল হোসেনকে সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়। মিটারের জামানত ও সদস্য ফি বাবদ ৬২০ টাকা করে নেওয়ার কথা থাকলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার কথা বলে কমিটির সদস্যরা গ্রাহকদের কাছ থেকে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে সাত হাজার টাকা করেও হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ার হুমকি দেওয়ায় গ্রাহকরা অনেকেই ধারদেনা বা ঋণ নিয়ে এ টাকা পরিশোধ করেছেন। তাছাড়া পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় দালালদের পরামর্শে লাইন সম্প্রসারণের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন কয়েক গ্রাহকের জমির মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি বসান। পরে দালালদের মাধ্যমে খুঁটি সরানোর খরচ বাবদ ১০-২০ হাজার টাকা করে নিয়ে সেসব খুঁটি তারাই সরিয়ে অন্যত্র বসিয়েছেন। এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে দালালচক্র কমপক্ষে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে একাব্বর মাস্টার বলেন, ‘বয়স্ক লোক হিসাবে আমাকে সভাপতি করেছে। আমি কোনো টাকা পয়সা লেনদেনের মধ্যে ছিলাম না। এ বিষয়ে সেক্রেটারি তোফাজ্জল হোসেন জানেন।’ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ঠিকাদার, পল্লীবিদ্যুতের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তাদের টাকা পয়সা দিতে হয়। এজন্য কিছু তোলা হয়েছে। তবে টাকার পরিমাণ কত তা তিনি বলতে রাজি হননি। নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার নিতাই চন্দ  বলেন, ‘অফিসে গ্রাহক প্রতি ৬২০ টাকা করেই জমা নেওয়া হবে। দালালচক্র অতিরিক্ত টাকা নিতে পারে। আমি দালালদের নামে চাঁদাবাজি মামলা করার জন্য প্রতারিত গ্রাহকদের পরামর্শ দিয়েছি।’

সর্বশেষ খবর