শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফেনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় অন্তঃসও্বার গর্ভপাত

ভাঙচুর লুটপাট আহত ১০

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে লক্ষীপূজায় আতশবাজি ফুটানোর জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় এক গর্ভবতীর গর্ভের সাত মাসের বাচ্চা মারা গেছে। হামলাকারীরা হিন্দুদের দোকান, বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ জন আহত হয়েছেন। আরও হামলার ভয়ে অর্ধশত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে নৌকায় উঠে ছোট ফেনী নদীতে আশ্রয় নেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে নদীতে ভাসতে থাকা পরিবারগুলো বাড়ি ফিরে আসে। বুধবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারার জেলেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক, ফেনী মডেল থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুকদেব নাথ তপন, জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি রাজীব খগেশ দত্ত, লিটন সাহা, গণেশ ভৌমিক গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা জহরলাল দাস জানান, লক্ষীপূজার আতশবাজি ফুটানোর জেরে বুধবার মধ্যরাতে মাথিয়ারা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে ইকবালের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক জেলেপাড়ায় হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পাড়ার লোকজন হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাদের আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা সাত মাসের গর্ভবতী তুলসী রানী দাস কণিকার (২০) ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এতে কণিকার প্রচণ্ড রক্তপাত হলে গতকাল ভোরে তিনি ফেনী সদর হাসপাতালে মৃত সন্তান প্রসব করেন। এদিকে হামলাকারীদের অস্ত্রের আঘাতে জহরলাল দাস (৪৫), আলো রানী দাস (২৮), শোভা রানী দাস (৪৫), শুকদেব দাস (১২), পরিমল দাস (৬০), বিকাশসহ (২৪) অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে তও্বাবধায়ক ডা. ছরোয়ার জাহান জানান, অধিক রক্তক্ষরণের কারণে কণিকার গর্ভের সন্তান মারা গেছে। কণিকাও শঙ্কামুক্ত নন। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোর্শেদ জানান, হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জহরলাল দাস বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে থানায় মামলা করেছেন।

সর্বশেষ খবর