এলাকায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ফুলদী এলাকায় গতকাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের সঙ্গে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বাবুল মিয়ার এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সকালে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে প্রথমে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জাহিদুল ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, আবু সাঈদ, আমিনুল ইসলাম, হুমায়ুন মিয়াসহ ১৫/২০ জন রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, টেঁটা, বলমসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাবুল মিয়ার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে বাবুল মিয়ার ভাই কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, বাবা আবদুর রউফ, স্ত্রী হালিমা বেগম, ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদা বেগম, নাদিয়া বেগম, আমজাদ হোসেন ও জাকির হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে তাদের ৪/৫টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। পরে বাবুল মিয়ার লোকজন একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, আক্তার হোসেন, আল কাউসার, দ্বীন ইসলাম ও হাতেম আলীকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ আনোয়ার হোসেন, কবির হোসেন ও জাইদুল ইসলামের অবস্থা গুরুতর। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবুল মিয়া জানান, পূর্ব শত্র“তার জের ধরেই সন্ত্রাসী আলমগীর হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করে ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। অপরদিকে আলমগীর হোসেন জানায়, আমার ছোটভাইকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। পরে আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।