শিরোনাম
বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষে আহত ১০ গেটম্যান চাকরিচ্যুত

আট ঘণ্টা পর নাটোরে ট্রেন চালাচল স্বাভাবিক

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষে দশজন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতের এ ঘটনার পর বন্ধ হয়ে যায় নাটোরের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ। প্রায় আট ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় এই রুটে ট্রেন চালাচল। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গেটম্যান সুলতান মৃধাকে চাকরিচ্যুত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি কম থাকায় কম যাত্রী আহত হয়েছেন। রাতে ওই রেল গেটটি বন্ধ রাখার কথা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে তেবাড়িয়া রেল ক্রসিংয়ের গেট খোলা ছিল। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ থেকে নাটোরগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে পাশের একটি টিনের বাড়ির উপর পড়ে। দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকটি পড়ে যায় খাদে। এতে রংপুর এক্সপ্রেসের ১০ যাত্রী আহত হন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। এদের মধ্যে গুরুতর জখম তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হলেও অন্যরা নেন প্রাথমিক চিকিৎসা। স্থানীয়রা আরো জানান, ট্রেনের ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়ে টিন দিয়ে ঘেরা একটি বাড়িতে ধাক্কা দিলেও সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘরের লোকজন সংঘর্ষের শব্দ পেয়েই দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রেলওয়ের পশ্চিম জোনের মহা-ব্যবস্থাপক খায়রুল আলম উদ্ধারকারী দল নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা চেষ্টা করে লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি সকাল পৌনে আটটার দিকে লাইনে তুলে নাটোর স্টেশনে পাঠানো হয়। রেল লাইন মেরামত হওয়ার পর নাটোর স্টেশনে অপেক্ষমাণ চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা দিয়ে রওনা হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকাসহ উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী নীল সাগর, একতা, তিতুমীর, সীমান্ত, দ্রুতযান ও লালমনি এক্সপ্রেসসহ সব লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকাপড়া যাত্রীরা শিকার হন চরম ভোগান্তির।

সর্বশেষ খবর