প্যান্ডেল সাজিয়ে নেচে-গেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা করার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিলা কবিরাজসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে মহিলা কবিরাজকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জানা যায়, সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে আকলিমা ও তার ছেলে জরিপ হোসেন মানসিক প্রতিবন্ধী। বহু চিকিৎসার পরও তারা সুস্থ হননি। পরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জালালপুরের কবিরাজ শাহেদা খাতুনের সন্ধান পান আবুল। কবিরাজের সঙ্গে এক লাখ টাকায় রফা হয় দুজনকে ভাল করে দেওয়ার। শনিবার কবিরাজ সাত সদস্যের দল নিয়ে আকলিমার বাড়ি আসেন। বাড়ির উঠানে তৈরি করা হয় প্যান্ডেল। শুরু হয় চিকিৎসা। রোগীকে এক যুবক বার বার ঘুষি মারছে। দিচ্ছে লাথিও। দলের অন্য সদস্যরা বাঁশি, ঢোল বাজানো এবং নাচের তালে গান গাইছেন। এ সময় মহিলা কবিরাজ লাঠি হাতে রোগীর চারদিকে ঘুরতেন। চার দিন ধরে চলে এভাবে চিকিৎসা। শুধু খাবার ও আজানের সময় চিকিৎসায় বিরতি দেওয়া হত। মঙ্গলবার রাতে মৈন্দ গ্রামের ওই আসরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহিলা কবিরাজ শাহেদা, গৃহকর্তার ছেলে মাসুম ও বাঁশি বাদক ফরিদকে আটক করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত শাহেদাকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে হাজতে পাঠান।