রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শেরপুরে লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

শেরপুরে লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে

জমে উঠেছে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক মেয়র গোলাম কিবরিয় লিটন। বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক আশীষ। এনপিপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান। মেয়র পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লড়াই হবে লিটন-আশীষের মধ্যে। ভোটের রাজনীতিতে দুজনই পাকা খেলোয়াড়। গোলাম কিবরিয়া লিটন একজন ক্লিন ইমেজের সাংস্কৃতিমনা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি তিনবার শেরপুর চেম্বার অব কমার্স ও মিল মালিক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০৪-১১ সাল মেয়াদে শেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। সে সময় তিনি পৌরসভার বেশ উন্নয়ন করেছেন। লিটনের বাবা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন আহাম্মদেরও সুখ্যাতি রয়েছে। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক আশীষ এলাকার আবাল বৃদ্ধ-বণিতার কাছে সদালাপি নেতা হিসেবে পরিচিত। পৌর এলাকার কেউ মারা গেলে বয়োজষ্ঠ্য এই নেতা জানাজা নামাজে যাবেনই। আশীষ ১৯৯৩-৯৯ সাল মেয়াদে শেরপুর পৌরসভার চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। এনপিপির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান এলাকায় অতি সাধারণ সহজ-সরল লোক হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীই কিছু সমস্যার মুখে পড়ছেন। সরকার দলীয় বর্তমান মেয়র হুয়ায়ুর কবীর রুমান মনোনয়ন পাননি বলে তার সমর্থকরা নির্বাচন পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। তবে হুইপ আতিউর রহমান আতিক দলীয় প্রার্থী লিটনের পক্ষে থাকায় তার (আতিক) ইমেজ কাজে লাগিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে মামলা-হামলা, হয়রানির আশঙ্কায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করছেন। কোথাও কোথাও অতি গোপনে নির্বাচনী কাজ করছেন তারা। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে  ৯ জন সাধারণ কাউন্সিল পদের বিপরীতে ৪৮ ও  ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে  ১৮ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ১ নং ওয়ার্ড থেকে যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৬২ বছরের পুরনো এই পৌরসভার  কে হাল ধরবেন তা দেখতে অপেক্ষা  করতে হবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।  সবার প্রশ্ন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো?

সর্বশেষ খবর