বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সৌহার্দ্যের কেন্দ্র থানাপাড়া

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

সত্তরোর্ধ্ব আবদুস সাত্তার। নাতির হাত ধরে ধীরে ধীরে কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করে লাইনে দাঁড়ালেন। নানা গুজবের পরও তার ভোট কেন্দ্রে আসা সম্পর্কে জানতে চাইলে বললেন, পাকিস্তান আমল থেকে ভোট দিচ্ছি। সব জায়গায় মারামারি হলেও এ কেন্দ্রে কোনো দিনই মারামারি হয়নি। তার কথার রেশ না কাটতেই পাশ থেকে কলেজ শিক্ষক মিজানুর রহমান জানালেন, এখানে একাধিক প্রার্থী থাকেন। কিন্তু কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান না। চারঘাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের  থানাপাড়া গ্রাম। এ ওয়ার্ডের ভোটার দুই হাজার ৮৫৩ জন। থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি উপজেলায় সৌহার্দ্যের নজির সৃষ্টি করেছে। পাশাপাশি প্রার্থীরা দাঁড়িয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। বিভিন্ন দলের নামে স্লোগানও চলছে। কিন্তু মারামারির ঘটনা আগেও ঘটেনি। গতকাল পৌর নির্বাচনেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। ভোট দিতে আসা গৃহিণী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ভোটের আগে নানা গুজব আর আতঙ্কের কথা শোনা যাচ্ছিল। ভাবছিলাম ভোট দিতে গিয়ে আবার কোন বিপদে পড়ি। কিন্তু না এলে বুঝতে পারতাম না এত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। থানাপাড়ার রাশেদুল ইসলাম নামের এক ভোটার বলেন, এমনিতেই এ ভোট কেন্দ্রটি শান্তিপূর্ণ। থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকর্ড আছে স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যত ভোট হয়েছে, কোনো সময়ই গণ্ডগোল হয়নি। কাউন্সিলর প্রার্থী আজমল হোসেন মতি জানান, প্রার্থীরা সবাই একই গ্রামের। রাজনৈতিক আদর্শের কারণে ভিন্ন দল করলেও সবার সঙ্গে সবার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। ফলে এ কেন্দ্রে ভোট নিয়ে কখনই গণ্ডগোল হয় না। তিনবারের এ কাউন্সিলরের সঙ্গে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন সাজ্জাদ হোসেন সাদু। তিনিও সুর মেলালেন মতির কথায়।

সর্বশেষ খবর