চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের রবিউল ইসলামকে (৪০) অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জীবননগর উপজেলার দেহাটি কাটাখালী মাঠে গতকাল সকালে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, ভালাইপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলামকে একদল লোক মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভালাইপুর মোড় থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় অনেকে ভেবেছিল সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে নিয়ে গেছে। পরে জানা যায়, থানা কিংবা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে নেয়নি। গতকাল তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় দেহাটি গ্রামের কাটাখালী মাঠে। নিহতের এক নিকটাত্মীয় লাশ শনাক্ত করেছেন।

নিহতের ভাই মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় তার ভাই রবিউল ইসলাম মাঠে নিজেদের পানের বরজে কাজ করছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে কেউ তাকে ডাকে। রবিউল বরজ থেকে বের হয়ে ভালাইপুর মোড়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই একটি মাইক্রোবাস এসে তাকে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানায় খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। চুয়াডাঙ্গার সব থানার পুলিশ জানায়, পুলিশ রবিউলকে ধরে আনেনি। গতকাল সকালে লাশ উদ্ধারের পর তোফাজ্জেল হোসেন জীবননগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করেন।