রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

জয়পুরহাটে ভোট সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক

মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

ব্যালট পেপার ছিনতাই দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কারণে জয়পুরহাট জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ত্রিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৮টায় ভোট শুরুর ৫ ঘণ্টা পর বেলা দেড়টায় হাড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতা দেখা দেয়। এ সময় পুলিশ শটগানের ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের। সভাপতি পদ প্রার্থী জাহাঙ্গীর চৌধুরী জানান, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মানের নেতৃত্বে ভোট সন্ত্রাস শুরু হয়। বেলা দেড়টার দিকে বহিরাগত কিছু লোকজন কেন্দ্রের ভিতর দুটি রুমে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সিল মারতে থাকে। পুলিশ এতে বাধা দিলে উভয় পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক সময় পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।  বগুড়া থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সন্ধ্যায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছিল। কিন্তু দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই জয়পুরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক সোলায়মান হোসেন ভোট কেন্দ্রে ঢুকলেন। কিছুক্ষণ পরেই তার পছন্দের প্রার্থীকেই বিজয়ী করার জন্য বহিরাগত কিছু লোক আসে ও পরবর্তীতে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে তার এজেন্টকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারতে থাকে এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। তিনি বিষয়টি তাত্ক্ষণিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত সহিদুলকে টেলিফোনে জানান। জাহাঙ্গীর আরও বলেন, এ সময় লোকজন সোলায়মানকে খুঁজতে থাকলে তিনি ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিচার দাবিসহ অবিলম্বে সুষ্ঠু পরিবেশে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মো. সহিদুল হক টেলিফোনে জানান, বুথ দখল, ব্যালট ছিনতাই ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় প্রিসাইডিং অফিসার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর