রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
পাথরঘাটায় সক্রিয় দালাল চক্র

পাচার হচ্ছে নারী-মানুষ

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটায় সক্রিয় দালাল চক্র। ফাঁদে ফেলে এরা পাচার করছে নারী-পুরুষ। এরই মধ্যে তিনটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। পাথরঘাটার মহিউদ্দিন, বাগেরহাটের সাইফুল ও রায়েন্দার জাহাঙ্গীর এই তিন চক্রের নিয়ন্ত্রক। নিম্ন আয়ের লোকজন এই চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা কয়েকজন জানান, গত দেড় থেকে দুই বছরে পাথরঘাটা থেকে প্রায় ৩০০ লোক দালাল চক্রের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। এদের জিম্মি করে মুক্তিপণের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে টানছে জেলের ঘানি। মুক্তিপণ না দিতে পারায়  বেশির ভাগ মানুষই দালাল চক্রের হাতে বিনাবেতনে কাজ করে যাচ্ছে মাসের পর মাস। পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচার হওয়া বেশ কয়েকজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে চরদুয়ানীর রনী গাজী, আমেনা খাতুন, খোকন পহলান, নবী হোসেন, তামান্না, মুন্নী বেগম, বেলায়েত কাজী, লাচ্চু বেগম এবং পাথরঘাটা সদরের ইব্রাহীম মিয়ার নাম পাওয়া গেছে। মুক্তিপণের মাধ্যমে বাড়ি ফেরত এসেছে পদ্মা গ্রামের জামাল আকন, বাদুরতলার ইসমাইল, পশ্চিম বাদুরতলার বেলাল ফকির, কোরালিয়া গ্রামের মিজান ফরাজি, জসিম গাজী, হারিটানার ইব্রাহীম হাওলাদার, শামীম প্যাদা, বসির খাঁ, ছোট টেংরার দুলাল হাওলাদার এবং তাফালবাড়িয়ার কবির সিকদার। পাথরঘাটার হারিটানা গ্রামে দালাল মহিউদ্দিনের বাড়িতে গেলে ঘরে তালা ঝুলতে দেখা যায়।  পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ভারতের কারাগারে আটককৃতদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, ভুক্তভোগীরা পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেছে, যার তদন্ত চলছে। দালালদের ধরার জন্য সবধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত দালাল চক্রকে ধরা সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর