শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু নিহত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বাহিনীর প্রধান আলম (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বনদস্যুদের ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ শতাধিক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে আছে ৪টি একনলা বন্দুক, দুটি দোনলা বন্দুক, দুটি শটগান, দুটি ওয়ান শুটারগান, দুটি বিদেশি এয়ারগান, দশমিক ২২ বোর রাইফেলের ১১১টি তাজা গুলি, ৩৬টি বন্দুকের তাজা গুলি, এয়ারগানের ৩৯২টি গুলি, ৩৭টি বন্দুকের খালি কার্তুজ, ৫টি রামদা, গুলি রাখার দুটি তোষদানি, একটি সিমসহ দুটি মোবাইল ফোন সেট, দুটি টর্চলাইট, ১২ ভোল্ট ব্যাটারি ও প্যানেলসহ একটি সোলার লাইট সেট এবং চাঁদা আদায়ের প্রচুর টোকেন।

 র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম বলেন, সুন্দরবনে জেলে অপহরণের খবর পেয়ে র‌্যাব নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সকালে একটি বিশেষ দল মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে অভিযানে নামে। সকাল ৮টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নেওয়ার সময় দস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। আধা ঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধে উভয় পক্ষ শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় করে। একপর্যায়ে বনদস্যুরা বনের ভিতরে পিছু হটলে এলাকা তল্লাশি করে মৃগমারী খালের মুখে বনের ভিতরে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ, ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের গুলি, বিপুল রসদসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর সেখানে আসা মৌয়াল ও জেলেরা নিহতকে আলম বনদস্যু বাহিনীর প্রধান আলম বলে শনাক্ত করেন। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে র‌্যাব দাবি করে। বনদস্যু আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায়। এ ঘটনায় মংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর