ফরিদপুর জেলার মধ্যে নদী ভাঙনে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চরভদ্রাসন উপজেলার মানুষ। বর্তমানে নদী ভাঙনের কবলে রয়েছে সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রাম থেকে আ. গফুর মৃধার ডাঙ্গী, খালাসী ডাঙ্গী, হাজী ডাঙ্গী, সেকের ডাঙ্গী, পদ্মার অপর পাড়ের অংশ চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, দিয়ারা গোপালপুর, চরমঈনুট, চর মির্জাপুর, চরকল্যাণপুর, ফাজিলখাঁর ডাঙ্গী, এমপি ডাঙ্গী, টিলারচর, জাকেরের সূরা, চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরসালেপুর, ভাটি সালেপুর, ছমির বেপারীর ডাঙ্গী, আরজখাঁর ডাঙ্গী, জৈনদ্দিন বিশ্বাসের ডাঙ্গী, তোতার ডাঙ্গী, আজহার বেপারীর ডাঙ্গী, নমুরছাম, চরসালেপুর, নিমাই খাঁর ডাঙ্গী, দাই ডাঙ্গী, চবুল্যা সিকদারের ডাঙ্গী, আমিন খাঁর ডাঙ্গী, খন্দকার ডাঙ্গী, কছিমুদ্দিন প্রমাণিকের ডাঙ্গী, গাজীরটেক ইউনিয়নের নতুন ডাঙ্গী, জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী, চর হোসেনপুর, মধু ফকিরের ডাঙ্গী, রহমান প্রমাণিকের ডাঙ্গী, গনি মাতুব্বরের ডাঙ্গী, মাসুদ খানের ডাঙ্গী, হাজার বিঘা। পুরো চরভদ্রাসন উপজেলাটি পদ্মানদী দ্বারা বেষ্টিত হলেও শুধুমাত্র গাজীরটেক ইউনিয়নের চরহাজীগঞ্জ বাজার রক্ষায় ১ কিলোমিটার এবং সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামের পদ্মার পাড়ের ১২৫ মিটার এলাকা বাঁধ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বাকি প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে অরক্ষিত।
চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম বাদল আমিন জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ফরিদপুরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে চরভদ্রাসন উপজেলাটি।