শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

একই সময় রাষ্ট্রীয় দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি

শেরপুর প্রতিনিধি

জেলা শহরের নৌহাটায় আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক সাবিহা জামানের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ ওঠেছে। এ সময় তিনি সরকারি একটি প্রকল্পের প্রায় চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এরই মধ্যে ওই অর্থ ফেরত ও দুর্নীতির দায়ে সাবিহার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সবশেষ গতকাল শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক আদিল মাহদুদ উজ্জল। অভিযুক্ত সাবিহা জামান এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অভিযোগে জানা যায়, সাবিহা জামান (শাপলা) ২০১০ সালে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং এমপিওভুক্ত হিসেবে প্রতিমাসে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা তুলছেন। ২০১১ সালে শিক্ষক থাকা অবস্থায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় মহিলা সংস্থার সরকারি বিশেষায়িত আধুনিক ট্রেড প্রশিক্ষণ প্রকল্পের বিউটিশিয়ান ট্রেড প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন সাবিহা। এখান থেকে আড়াই বছরে মাসে ১২ হাজার ৩০০ টাকা হারে তিন লাখ ৬৯ হাজার টাকা বেতন-ভাতা নেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে একই সময় কেবলমাত্র মাদ্রাসার হাজিরা খাতায় সই স্বাক্ষর করে মহিলা সংস্থার ট্রেনার হিসেবে বিউটিশিয়ানের ক্লাস নিয়েছেন। বিষয়টি এত দিন গোপন থাকলেও সম্প্রতি ফাঁস হয়। এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম সামছুন্নাহার কামাল বলেন, ‘ওই সময়ে সাবিহা জামান মাদ্রাসায় চাকরি করতেন তা আমার জানা ছিল না। মাদ্রাসার চাকরির তথ্য গোপন রেখে আমার এখানে বিউটিফিকেশন ট্রেডে নিয়মিত ট্রিনিং দিয়েছেন তিনি। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নূরল আমিন জানান, সাবিহা জামান আমার এখানে নিয়মিত ক্লাস নিয়েছে এবং হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেছেন। একই সময় তিনি অন্য স্থানে চাকরি করেছেন বলে আমার জানা নাই। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ দেননি। শেরপুর জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক হয়ে অন্যত্র চাকরি করে বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর